মতিহার বার্তা ডেস্ক: মাদারীপুর জেলা ছাত্রলীগের সদ্য দায়িত্ব পাওয়া ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদ হাওলাদারের বিরুদ্ধে দুটি দোকান ও একটি বসতঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় নারীসহ আহত হয় ছয় জন।
গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের মহিষেরচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, পাঁচখোলা ইউনিয়নের মহিষেরচর হাওলাদার বাড়ির ছেলে ছাত্রলীগ নেতা বায়েজিদ হাওলাদারে সাথে একই এলাকার রাজীব শিকদারের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর আগেও কয়েকবার দুই পক্ষের সাথে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরই সূত্র ধরে মঙ্গলবার রাতে ছাত্রলীগ নেতা বায়েজিদ হাওলাদারের সমর্থকরা রাজীব শিকদারের ওপর হামলা চালায়। পরে তারা রাজীব ও নান্টুর দোকানঘর ভাঙচুর করে। এ সময় তাঁরা একটি বসতঘরেও ভাঙচুর চালায়। হামলাকারীদের বাধা দিতে গিয়ে আহত হয় ছয় জন। পরে আহতদের মাদারীপুর সদর হাসপাতালসহ স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ।
ভুক্তোভোগী রাজীব শিকদার বলেন, ‘আমি সরকারি খাস জমি লিস নিয়ে থাকি। কিন্তু ক্ষমতা ও লোকবল দিয়ে বায়েজিদ আমার জমি দেখলে যেতে চায়। আমি বাধা দিতে গেলে আমার ওপর হামলা চালায়। হত্যার হুমকি দেয়। ঘটনার পরে আমি পুলিশকে সব জানাই। আমি এ ঘটনার সঠিক বিচাই চাই।’
অভিযোগের বিষয় জানতে মুঠোফোনে জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদ হাওলাদার বলেন, ‘এলাকার আমার সাথে কারো কোন দ্বন্দ্ব নেই। আমি কোন হামলা সাথে জড়িত নই। রাতে এলাকার কয়েকজন ছেলে মারপিট করেছে আমি ওদের কাছে গিয়ে মিলিয়ে দিয়েছে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’
মাদারীপুর সদর মডেল থানার কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলম বলেন, ‘হামলার খবর শুনে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। দুই পক্ষের সাথেই আমরা কথা বলেছি। তবে কোন পক্ষেই আমাদের কাছে কোন মামলা করেনি। তারা সম্ভবত স্থানীয় ভাবে বিষয়টি মিমাংশা করে নিবে।
মতিহার বার্তা ডট কম – ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.